জনগণের ওপর নির্যাতনের দায় সরকারকে নিতে হবে: ঐক্যফ্রন্ট

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে শোভাযাত্রা করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় তিনি বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে কি না তা নিয়ে আমরা আজ আতঙ্কিত। আজ যে নির্বাচন কমিশন আছে, তারা সুষ্ঠু নিবাচন পরিচালনা করতে পারবে কি না তা নিয়েও আমরা শঙ্কিত।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার নির্লজ্জভাবে বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে। এ নির্বাচন আমাদের দেশের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এ দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি না, জনগণের বাক-স্বাধীনতা থাকবে কি না, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে কি না।

তিনি বলেন, সরকার নজিরবিহীনভাবে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে। আপনারা যতই হামলা-মামলা করেন জনগণকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারবেন না।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বন্ধ করুন, না হলে সব দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। জনগণের ওপর নির্যাতনের দায় আপনাদের নিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজ বিজয়ের দিন, আর আমরা লড়াইয়ে আছি। সেটি হলো ভোটের লড়াই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ নেতা বলেন, গত ৫ বছরে যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচন তারা (সরকার) ছিনতাই করেছে। এবারো ভাবছে, তারা ৫ জানুয়ারির মতো পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার সরকারকে আর ওয়াক ওভার দিব না। খালি মাঠে গোল দিতে দিব না।

মান্না বলেন, আমরা যখন নির্বাচনে যাব ঘোষণা দিলাম, তখনই আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। আমাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে, প্রচারণা চালাতে দিচ্ছে না।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আমরা নিবাচনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আবার ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিনীর মতো ব্যবহার করছে। সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের হামলা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করবে৷ এটা বিজয় দিবসে আমাদের আহ্বান দেশের জনগণের কাছে।

শোভাযাত্রাটি কাকরাইল ও শান্তিনগর হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শোভাযাত্রায় অন্যদের বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা সানা উল্লাহ মিয়া, আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।

এর আগে সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।